https://3.e-learningschool.com/

ই-লার্নিং স্কুলে লাইভ ক্লাসের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের সরাসরি ক্লাসে অংশগ্রহণের সুযোগ দেয়া হয়। শিক্ষকরা বিভিন্ন টুল ব্যবহার করে শিক্ষার্থীদের সাথে সরাসরি ইন্টারঅ্যাক্ট করে এবং তাদের প্রশ্নের উত্তর দেয়। শিক্ষার্থীরা ভিডিও কলের মাধ্যমে শিক্ষক এবং সহপাঠীদের সাথে আলোচনা করে শেখার অভিজ্ঞতা উপভোগ করে।

তৃতীয় শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের জন্য মাল্টিমিডিয়া পদ্ধতিতে ডিজাইনকৃত পাঠ্যবই প্রদান করা হয়। এতে অডিও, ভিডিও, এনিমেশন ইত্যাদি ব্যবহার করে কঠিন ধারণাগুলো সহজে বোঝানো হয়। যেমন, গল্পের চরিত্র বা গাণিতিক সমস্যা ছবির মাধ্যমে উপস্থাপন করা হয়, যা শিক্ষার্থীদের শেখার আগ্রহ বাড়ায়।

লাইভ ক্লাসে অংশগ্রহণ করতে না পারা শিক্ষার্থীদের জন্য রেকর্ডেড ক্লাসের ব্যবস্থা রাখা হয়। এতে শিক্ষার্থীরা যেকোনো সময় ক্লাসগুলো দেখতে পারে এবং তাদের শেখার ক্ষেত্রে কোনো বাধা সৃষ্টি হয় না। এই সেবাটি শিক্ষার্থীদের পুনরায় পাঠ বুঝতে এবং নিজস্ব গতিতে শিখতে সহায়তা করে।

তৃতীয় শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের জন্য ভার্চুয়াল ল্যাবের ব্যবস্থা রয়েছে। এতে গণিত এবং বিজ্ঞানের বিভিন্ন বিষয় হাতে কলমে শেখানো হয়। উদাহরণস্বরূপ, ভার্চুয়াল ল্যাবের মাধ্যমে তারা গণিতের জ্যামিতিক সমস্যা বা বিজ্ঞানের প্রাকৃতিক উপাদান সম্পর্কে বাস্তব অভিজ্ঞতা অর্জন করে।

ই-লার্নিং স্কুলে শিক্ষার পাশাপাশি বিভিন্ন কো-কারিকুলার কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়, যেমন আর্ট ও ক্র্যাফট, সংগীত, এবং ফিজিক্যাল অ্যাক্টিভিটি। এসব কার্যক্রম শিক্ষার্থীদের সৃজনশীলতা বাড়াতে এবং শারীরিক ও মানসিক বিকাশে সহায়তা করে। শিক্ষার্থীরা ভার্চুয়াল ফর্মে এসব কার্যক্রমে অংশ নিয়ে তাদের প্রতিভা বিকাশের সুযোগ পায়

প্রতিটি শিক্ষার্থীর জন্য একটি ব্যক্তিগত উন্নয়ন পরিকল্পনা তৈরি করা হয়। এতে শিক্ষার্থীর দুর্বলতা এবং শক্তির জায়গাগুলো চিহ্নিত করে সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়। এই পদ্ধতিতে শিক্ষকদের পরামর্শ এবং শিক্ষার্থীদের অগ্রগতি নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করে উন্নতি নিশ্চিত করা হয়।

তৃতীয় শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন প্রকল্পভিত্তিক কার্যক্রমে যুক্ত করা হয়, যেখানে তারা বাস্তব জীবনের সমস্যাগুলো সমাধানের চেষ্টা করে। যেমন, প্রকৃতির সংরক্ষণ বা শক্তি সঞ্চয় নিয়ে শিক্ষার্থীদের ছোট ছোট প্রকল্পে কাজ করার সুযোগ দেয়া হয়। এই পদ্ধতি শিক্ষার্থীদের সৃজনশীল চিন্তাভাবনা এবং সমস্যা সমাধানের দক্ষতা বাড়ায়।

শিক্ষার্থীদের অগ্রগতি মূল্যায়নের জন্য নিয়মিত পরীক্ষা, কুইজ এবং অ্যাসাইনমেন্ট নেয়া হয়। পরীক্ষার পর শিক্ষকদের কাছ থেকে তাৎক্ষণিক ফিডব্যাক দেয়া হয়, যা শিক্ষার্থীদের তাদের দুর্বলতা চিহ্নিত করে উন্নতির সুযোগ দেয়।

শিক্ষার্থীর শিক্ষা কার্যক্রমে অভিভাবকদের সম্পৃক্ত রাখার জন্য নিয়মিত অভিভাবক-শিক্ষক মিটিং এবং অগ্রগতি রিপোর্ট প্রদান করা হয়। অভিভাবকদের সাথে যোগাযোগের মাধ্যমে তাদের সন্তানের শিক্ষার অগ্রগতি নিয়ে আলোচনা করা হয় এবং প্রয়োজনীয় সাপোর্ট প্রদান করা হয়।